অনেক গুনের অধিকারী কে এই আদনান আজাদ আসিফ


সাধারণত অভিনেতা বা অভিনেত্রীরা ক্যামেরার সামনে কাজ করে থাকেন। নিজেদের অভিনয় প্রতিভার মধ্যে দিয়ে তারা দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন। অবশ্য অনেক
অভিনেতা, অভিনেত্রীরা একটা সময়ে যেয়ে ক্যামেরার পিছনে নির্দেশনা দেন। তবে অভিনয় করার পাশাপাশি ফটোগ্রাফার হিসেবে নিজেকে পরিচিত করার ইচ্ছা খুব কম অভিনেতাইই প্রকাশ করেন। আর এই ব্যাতিক্রম অভিনেতা হলেন আদনান আজাদ আসিফ।

সদা হাস্যউজ্জল এবং বন্ধুসুলভ এই গুনী মানুষটির ২০০৯ সালে একটা সিনেমাতে অভিনয় এর মাধ্যমে মিডিয়াতে আগমন ঘটে এই অভিনেতার। এর মধ্যে প্রায় ১১টা সিনেমাতে অভিনয় করেছেন তিনি। ২০১০ সালে নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে ছোট পর্দায় আসেন তিনি। নাটকে নিজের সু-অভিনয় দিয়ে খুব তারাতাড়িই নির্মাতা এবং দর্শকদের নজরে আসেন তিনি। অভিনীত


নাটকের সংখ্যা ৫০টার t676মত। তবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছেন ২০১১ সালে বিজ্ঞাপনে পা রাখার পর। আমাদের দেশের বেশীরভাগ দর্শক সিনেমা বা নাটক দেখুক বা না দেখুক ভাল একটা বিজ্ঞাপন তাদের ঠিকই নজরে আসে। এই প্রক্রিয়ার ধারা আদনান একজন সফল মডেল হিসেবে নিজেকে প্রমান করেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০টার বেশি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়েছে তার। প্রান,আর-এফ-এল,ব্র্যাক ব্যাংক, রবি
সহ নামী দামি সব টিভিসিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা তার ঝুলিতে আছে। কাজ করেছেন মৌসুমি, অপু বিশ্বাস, নওশীন, আচল, ফেরদৌসি মজুমদার, রাইসুল ইসলাম আসাদ, জাহিদ হাসান, হাসান ঈমাম সহ দেশের প্রখ্যাত অভিনেতা অভিনেত্রীদের সাথে। অভিনেতা হবার ইচ্ছাটা ছিল কিনা সেটা পরের কথা, কিন্তু ছোটবেলা থেকেই পশু-পাখি, বা অন্য রকমের জীব-জন্তুর প্রতি এক ধরনের ভালোলাগা কাজ করত। বড় হবার সাথে সাথে এই ভালোলাগাটাও বেড়ে যেতে থাকে। একসময় বুঝতে পারেন যে এটাই তার জীবনের সবচেয়ে বড় শখ এবং ভালবাসার কাজ।


আগে শুধু ভালোলাগা থেকে কাজটি করলেও ২০১০ সালে পাকাপাকিভাবে ফটোগ্রাফি শুরু করেন তিনি। এখন পর্যন্ত নিজে একা এবং এই রকম শখের কিছু মানুষের সাথে মিলে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে এ্যানিমেল q1ফটোগ্রাফি করে বেড়াচ্ছেন তিনি। কিছুদিন আগেই তার তোলা ছবি গুলো নিয়ে একটা এক্সিবেশনও হয়ে গেল রাজধানীতে। এছাড়া প্রথমআলো সহ আরো কিছু নিউজপেপারে তার তোলা ছবি ছাপা হয়েছে। নিজের এই ভালোলাগাকে সংগী করে আগামীতে আরো বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখেন তিনি। ফটোগ্রাফি এবং অভিনয় দুটোই তার ধ্যানে-জ্ঞানে। দুটি মাধ্যমে কাজ করতে অসুবিধে হয় কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন “যে মাধ্যমে কাজ করতে ভাল লাগে বা যে জায়গাতে কাজ করার পর মনের ভিতরে প্রশান্তি কাজ করে সেই কাজের জন্য সময় বা ইচ্ছা অটোমেটিক ভাবে তৈরী হয়ে যায়”। অভিনেতা এবং ফটোগ্রাফার এর সাথে আরেকটা মাধ্যমেও সফল তিনি। সেটা হল ব্যাডমিন্টন।


 শুধু সময় কাটানোর জন্য শীতকালে বন্ধুদের সাথে খেলা নয় ঢাকা শহরে এলাকাভিত্তিক ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা যেগুলো হয় তার অনেকগুলাতেই তার টিম বিজয়ী হয়েছে। ব্যাক্তিগতভাবে তিনি শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। 5এতসব নিয়ে ব্যাস্ততার পরেও নিজেকে যুক্ত রেখেছেন “ফুলস্টপ” নামের একটা অ্যাডফার্মের সাথে। ইন্ডিয়া থেকে নিজের গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর এখন ব্যবসা, অভিনয়, এবং ফটোগ্রাফি এই নিয়েই তার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন তিনি। নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপন এই তিন মাধ্যমেই একসাথে চুটিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। খুব শ্রীঘই মুক্তি পাচ্ছে তার “ভালবাসা ষোল আনা” নামে একটা সিনেমা। বেশকটি নাটক এবং বিজ্ঞাপন প্রচারের অপেক্ষায় আছে। নিজের স্বপ্ন দিয়ে আগামী দিনগুলি সাজানোর প্রতিক্ষায় থাকা এই গুনী অভিনেতার জন্য মহানগর সংবাদপত্র এর পক্ষ থেকে রইল অনেক অনেক শুভকামনা।

1 comment:

  1. Joney takey prem nibedon korechilo, cheleta kharap chilo na dekhte, but Asif takey "use" korar por janiye dilo tar boyfriend ache, Joney khub e mormahoto hoyechilo r media jogot e podarponer cheshta ekebare chere dilo. Oy koshto onek din takey pira diyechilo.

    ReplyDelete

Powered by Blogger.